বর্ষা ও শীতে কমবেশি সব কবুতরই সাধারন কিছু সমস্যায় ভুগে, এই রোগগুলো খুবই স্বাভাবিক ও প্রাকৃতিক। কিন্তু অধিকাংশ খামারই এতে বেশি ঘাবড়ে যায়, আর এখানেই যত বিপত্তি ঘটে। খামারই রা ঘাবড়ে গিয়ে নানা জনের নানা পরামর্শ নিয়ে, বিভিন্ন ধরনের ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন। আর এতে কবুতরের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। যেমনঃ এক খামারি কবুতরের সাধারন পাতলা পায়খানার জন্য একজন উপদেশ দেন (Doxivet,Filmet,Sk Mox) এবং যথারীতি সেই খামাড়ী এই ঔষধ গুলো প্রয়োগ করেন, যখন কোন উপকার না পেয়ে আবার আর একজন কে জিজ্ঞাসা করে সে আবার আরেক ধরণের ঔষধ এর পরামর্শ দেন। আবার একদিন এক কবুতরের টনসিল ফূলে বড় হয়ে গেছে আরেকজন জানালেন যে এটা কেটে ফেলে দিতে হবে এবং এই কাজটা তিনি খুবই সানন্দে করতে রাজি হলেন।কিন্তু তিনি হয়তো জানেনই না যে টনসিলের কাজ কী। একদিন এক পরিচিত জন তার কবুতর মারামারি করে মাথা রক্তারক্তি করে ফেলেছে উনি গাড়ো করে ফিটকারী পানি প্রয়োগ করেছেন। আমরা আমাদের এই ধরণের সমস্যা হলে কী করতাম ? মনে হয় না কখনই এই ঔষধ গুলো আমারা প্রয়োগ করতাম কখনই না…তাই না! সর্দী,কাশীর মতো সাধারণ কিছু রোগের ক্ষেত্রে আগে চিন্তা করেন যে আপনার হলে আপনি এই অবস্থাই কী করতেন? যাই হোক, এখন আসুন আমরা জেনে নেয় কী করলে আমাদের এই ধরণের সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।
# আপনার খাঁচা পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন।
# জীবাণূ বিরোধী ওষুধের বদলে, বোড়ীক পাওডার ছিটান শুকনো।
# খাঁচাই এক টূকড়া কাঠ রাখুন, যাতে আপাণড় কবুতর দাঁড়াতে পারে। বা একটুকরো চট কেটে দিন।
# নিয়মিত স্যালাইন দিন।
# বাতাস ও বৃষ্টির ছাট থেকে প্রতিরোধ করুন।
# নিয়মিত সবুজ বা র চা দিন আদা ও মধু মীক্স করে।
# রসূন বাটা দিন পানির সাথে।
# পাতলা পায়খানা যদি বেশী হয় তবে হামদাদ এর পেছীশ ট্যাবলেট ১/২ করে দিনে ২ বার প্রয়োগ করুন।
# দশ জনের মতামত না নিয়ে একজনের মতামত এর উপর ঔষধ দিন।
# কোন ঔষধে কাজ না হলে নতুন ঔষধ প্রয়োগের আগে নাক্স ভুম ৩০(হোমিও# ৩ মিও# অল্প একটু পানিরসাথে দিন তারপর অন্য ঔষধ দিন।
# এক দিন সব কবুতর কে হোমিও tiberculinum 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিত পানিতে।
# প্রতিরোধেঃ এক দিন সব কবুতর কে হোমিও tiberculinum 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।
# প্রতিরোধেঃ Calcaria Curb 30 দিতে হবে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে।
# Daulkamara 30 বর্ষা বা আদ্রতা বা ঋতু জনিত সর্দিকাশি ইত্যাদি তে ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে দিনে ৩ বার।
# শুধু ঘনকাশি হলে বা ঘরঘর করলে। Costicum 30 তে ৩ ফোটা অল্প একটু পানির সাথে দিনে ৩ বার।
শুধু একটু চিন্তা ও সঠিক সিদ্ধান্ত আপনাকে অনেক সুবিধা ও সুখবর বয়ে আনবে। আর সবাইকে একটু অনুরধ(অনুগ্রহ করে) না জেনে ঔষধ দিবেন না ।
0 $type={blogger}:
Post a Comment