আমাদের একটি সখের জিনিস হল একুয়ারিয়াম। শহরকেন্দ্রিক জীবনধারায় ড্রইং রুমে একটি একুয়ারিয়াম সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে নিঃসন্দেহে। ঘরের কোণের একুয়ারিয়ামে জীবন্ত বাহারী রঙের মাছগুলো যখন সাঁতার কাটে তখন দেখতে ভালোই লাগে। কিন্তু একটা সুন্দর, চকচকে, মাছের জন্য সু-স্বাস্থ্যকর একুয়ারিয়াম মেইন্টেন করতে হলে সেটার পিছনে অনেক শ্রম দিতে হবে। এটা ছাড়াও আপনাকে হতে হবে ধৈর্যশীল।
* একুয়ারিয়ামে মাছ রাখতে হলে সবার আগে পানির পরিবেশ ঠিক রাখা চাই। পানির লবণাক্ততা, তাপমাত্রা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং মাছের সংখ্যা; এসব কিছুই এই পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্কিত।
* মাছ মারা যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে চর্মরোগ। মাছ ছাড়ার কিছুদিন পরে দেখা যায় এদের পাখনাগুলোয় সংক্রমণ হচ্ছে।
* এজন্য বিভিন্ন অ্যান্টিসেপ্টিক সলিউশন পাওয়া যায় এবং সেগুলো বিভিন্ন রঙের।
* পানির সঙ্গে ৩-৪ ফোঁটা মিশিয়ে দিতে হয়। এর সঙ্গে পানির পরিমাণ অনুযায়ী লবণ মিশিয়ে দিলে পানিটা এই মাছগুলোর বসবাসের উপযোগী হবে। এই লবণ কিন্তু খাওয়ার সাধারণ লবণ নয়।
* সেই সঙ্গে কমপক্ষে ২ সপ্তাহ পর পর পানি বদলাতে হবে। মনে রাখবেন, এই পানিটা বদ্ধ। সেজন্য পানির পরিবেশের প্রতি আলাদা নজর দিতে হবে।
* এরপর আপনাকে অক্সিজেনের ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য পাম্প মেশিন পাওয়া যায়। পাম্প মেশিনটা সব সময় চালু রাখতে হবে, যদি সেটা চার দেয়ালের অ্যাকুরিয়াম হয়। অনেকেই ভাবেন, পাম্পটা বন্ধ করে ঢাকনা খুলে দিলেই হয়ে যায়। ব্যাপারটা ভুল। বদ্ধ পানি, মাছগুলোও জলাশয়ের মাছ থেকে তুলনামূলক দুর্বল। সামান্য ডিজলভড অক্সিজেন এরা গ্রহণ করতে পারে না। তাই পাম্পটি সব সময় চালু রাখতে হবে।
* একুয়ারিয়ামে খুব বেশি মাছ না ছাড়াই ভালো। মাঝারি সাইজের অ্যাকুরিয়ামে ৮-১০টি আর বড় সাইজের ঘর হলে ১৬টির বেশি নয়। এরা নিয়মিত মলত্যাগ করে। বেশি মাছ থাকলে বদ্ধ পানির পরিবেশ খুব দ্রুত দূষিত হয়ে যায়।
* অনেকে মাছকে খাবার দেয়ার সময় ভুল করে থাকেন। এক সঙ্গে অনেক খাবার দিয়ে ফেলেন। কিন্তু এই কাজটি করতে যাবেন না। সামান্য খাবার দিন যা মাছ ৫ মিনিটের মধ্যে খেয়ে ফেলতে পারে। বাড়তি খাবার থাকলে তা পানিতে পচে পানি নষ্ট করে ফেলে।
* কোনো মাছ রোগাক্রান্ত হলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলা উচিত। এতে করে বাকি মাছে রোগ ছড়াবে না।
* ১ সপ্তাহ পর পর একুয়ারিয়াম পরিষ্কার করা উচিত এবং অ্যাকুরিয়ামের পানি সপ্তাহে অন্তত দুইবার বদলানো উচিত।
* মাছ পানির নিচে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় থাকে যে তাপমাত্রায় থাকতে সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। অনেক সময় পানির তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে বিশেষ করে শীতকালে। তাই একুয়ারিয়ামের থার্মোমিটার নিয়মিত দেখুন। এতে মাছ মরবে না।
* একুয়ারিয়ামের ছাকনিগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে, কিন্তু এগুলোর কাজ একই এবং তা একুয়ারিয়ামের জন্য স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে।
* যে কোনো একুয়ারিয়ামের সজ্জার ক্ষেত্রে একুয়ারিয়ামের পাথর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সব মাছ একুয়ারিয়ামে রাখা যায় না। বিশেষ কিছু মাছই রয়েছে যেগুলো একুয়ারিয়ামে রাখার জন্যই চাষ করা হয়। যেমন- গোল্ডফিশ, অ্যাঞ্জেল, শার্ক, টাইগার বার্ব, ক্যাটফিশ, গাপ্পি, মলি, ফাইটার, সাকার, সিলভার ডলার, অস্কার, কার্প, হাইফিন নোজ, এলিফ্যান্ট নোজ, টের্টা, অ্যারোনা, রোজি বার্ব, কমেট, কিসিং গোরামি, ব্ল্যাক অরেন্ডা ইত্যাদি।
* তবে একুয়ারিয়ামে গোল্ডফিশ প্রজাতির মাছ রাখতেই বেশি দেখা যায়। এরা বেশ কষ্টসহিষ্ণু ও অক্সিজেন ছাড়া কয়েক দিন বেঁচে থাকতে পারে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেশি।
* মাছ হাত দিয়ে না ধরে নেট ব্যবহার করুন। লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, যেন আলো বেশি হয় এবং তাপ কম হয়।
* একুয়ারিয়ামে পাথর কুচির নিচে একটি ওয়েট ডাস্ট ফিল্টার রাখতে হবে। তার সঙ্গে একটি এয়ার এক্সিকিউটর থাকে যেটা দিয়ে বাতাস বের হওয়ার সময় ভিতরে কিছুটা ঊর্ধ্বচাপের সৃষ্টি হয়। যার ফলে ময়লাগুলো খুব ধীরে ধীরে পাথরের ভিতর দিয়ে ওই ফিল্টারের নিচে গিয়ে জমা হয়। সেক্ষেত্রে একুয়ারিয়ামে সবসময়ের জন্য এই যন্ত্রটি চালিয়ে রাখতে হবে।
* স্পাইডার বা ফাইটার নামক মাছ ছাড়া অন্য সব মাছই এক সঙ্গে রাখা যায়। এই মাছটা একটু মারকুটে স্বভাবের। অ্যাঞ্জেল আর গোল্ডফিশের ওপর এর বিশেষ ক্ষোভ আছে, আক্রমণ করে লেজ, পাখনা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কমেট খুবই শান্ত মাছ। আকারে বড় বলে ফাইটার এদের আক্রমণ করে না।
* একুয়ারিয়ামে ফাইটার রাখতে চাইলে আলাদা কেস কিনে নিতে হবে।
একুয়ারিয়ামের যত্ন নেয়া একটু কষ্টসাধ্য। তবে ওপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখলে মাছ মরে যাওয়াটা কমে আসবে। তবে মনে রাখবেন, কমেট ছাড়া আর কোনো মাছই খুব একটা বাঁচে না। অ্যাঞ্জেল মারা যাওয়ার হার বেশি।
পাখির ঘর কিভাবে দুর্গন্ধমুক্ত রাখবেন?
১। প্রথমে একটা বোতলে ভিনেগার আর পানি মিশ্রণ করে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি রুমে স্প্রে করে দিতে হবে খাঁচার ট্রে তে, খাঁচার ভিতরে পর্দা কিংবা চাদরে ( খেয়াল করবেন যেন পাখির গায়ে না লাগে)।
২। একটা ছোট বাটিতে ভিনেগার ঢেলে খাঁচার কাছে রেখে দিতে পারেন।আপনি চাইলে দুই বা তার অধিক বাটিতেও দিতে পারেন। দুই থেকে তিন দিন পরপর পানি পাল্টাতে ভুলে যাবেন না যেন। এই ভিনেগারের মধ্যে সামান্য বেকিং সোডাও মিশিয়ে দিতে পারেন। তবে সাবধান বেশি সোডা দিলে ভিনেগার সল্যুশনটিতে ফেনার সৃষ্টি হয়ে উপচে পড়ে যেতে পারে।
৩। রুমে যদি কার্পেট থাকে সেখানে বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিতে পারেন। ঘণ্টা দু এক রেখে তারপর ঝাড়ু বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে বেকিং সোডা সরিয়ে ফেলুন।
৪। পাখির খাঁচা ও ফ্লোর কিছুক্ষণ নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
৫। পাখির ঘর দুর্গন্ধমুক্ত করার জন্য একজস্ট ফ্যান ব্যাবহার করতে পারেন।
বিড়ালের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি?
বিড়ালের ডায়রিয়া একটি খুব লক্ষনীয় রোগ। বিভিন্ন কারনে বিড়ালের ডায়রিয়া হতে পারে।তবে এ সময় ভালভাবে বিড়ালের যত্ন নিতে হবে। এসময় বিড়াল সহজে খেতে চায় না এবং বারবার পাতলা পায়খানার ফলে খুব দ্রুত শরীর পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
ডায়রিয়া হওয়ার কারণঃ
১) হটাৎ করে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন।
২) Powder milk অথবা গরুর দুধ খেলে।
৩) নষ্ট ও বাসি খাবার খাওয়া।
৪) কিছু কিছু খাবারে বিড়ালের এলার্জি থাকে, সেসব খাবার খেলে।
৫) ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমনে।
৬) অভ্যন্তরীন পরজীবী যেমনঃ গোলকৃমি হলে।
৭) কোন ঔষধের প্রতিক্রিয়ায়।
৮) কিডনী বা লিভারের সমস্যা।
৯) হজম তন্ত্রের ক্যান্সার বা টিউমার।
২) Powder milk অথবা গরুর দুধ খেলে।
৩) নষ্ট ও বাসি খাবার খাওয়া।
৪) কিছু কিছু খাবারে বিড়ালের এলার্জি থাকে, সেসব খাবার খেলে।
৫) ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমনে।
৬) অভ্যন্তরীন পরজীবী যেমনঃ গোলকৃমি হলে।
৭) কোন ঔষধের প্রতিক্রিয়ায়।
৮) কিডনী বা লিভারের সমস্যা।
৯) হজম তন্ত্রের ক্যান্সার বা টিউমার।
লক্ষণ সমূহঃ
পাতলা এবং বারেবারে মল ত্যাগ , শ্লেষ্মা বা রক্ত মল , ঝিমুনি, জ্বর , বমি , খাবার খেতে না চাওয়া ইত্যাদি। যদি বিড়ালের মল কালো বা মলের সাথে রক্ত থাকে তাহলে বুঝতে হবে পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্রের রক্তক্ষরণ এর কারন।
পাতলা এবং বারেবারে মল ত্যাগ , শ্লেষ্মা বা রক্ত মল , ঝিমুনি, জ্বর , বমি , খাবার খেতে না চাওয়া ইত্যাদি। যদি বিড়ালের মল কালো বা মলের সাথে রক্ত থাকে তাহলে বুঝতে হবে পাকস্থলী বা ক্ষুদ্রান্ত্রের রক্তক্ষরণ এর কারন।
চিকিৎসাঃ
এই সময় সাধারনত ১২-২৪ ঘন্টা বিড়ালকে খাবার না দেওয়া, কিন্তু যথেষ্ট পরিমানে বিষুদ্ধ পানি পান করাতে হবে যাতে করে বিড়াল পানি শূন্যতায় না ভোগে। বিড়ালকে ৩ ঘণ্টা পর পর ৬-৮ ফোঁটা স্যলাইন খাওয়াতে হবে সঙ্গে মুরগির সুপ (chicken stock) ও ভাতের মাড় খাওয়াতে পারলে ভালো হয়। এছাড়া ভাত এবং তার অর্ধেক পরিমান সেদ্ধ মাংস অথবা সেদ্ধ আলু নরম করে বিড়ালকে খাওয়ানো যেতে পারে। যদি ২৪ ঘন্টারও বেশী সময় ডায়রিয়া হতে থাকে তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। আর ডায়রিয়া শুরুর প্রথম থেকেই যদি তন্দ্রা ভাব, বমি, জ্বর , কালো বা রক্ত মল হয় তাহলে আর ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করা যাবে না সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর ডায়রিয়া প্রবন বিড়ালকে দুগ্ধ জাতীয় খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
এই সময় সাধারনত ১২-২৪ ঘন্টা বিড়ালকে খাবার না দেওয়া, কিন্তু যথেষ্ট পরিমানে বিষুদ্ধ পানি পান করাতে হবে যাতে করে বিড়াল পানি শূন্যতায় না ভোগে। বিড়ালকে ৩ ঘণ্টা পর পর ৬-৮ ফোঁটা স্যলাইন খাওয়াতে হবে সঙ্গে মুরগির সুপ (chicken stock) ও ভাতের মাড় খাওয়াতে পারলে ভালো হয়। এছাড়া ভাত এবং তার অর্ধেক পরিমান সেদ্ধ মাংস অথবা সেদ্ধ আলু নরম করে বিড়ালকে খাওয়ানো যেতে পারে। যদি ২৪ ঘন্টারও বেশী সময় ডায়রিয়া হতে থাকে তাহলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। আর ডায়রিয়া শুরুর প্রথম থেকেই যদি তন্দ্রা ভাব, বমি, জ্বর , কালো বা রক্ত মল হয় তাহলে আর ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করা যাবে না সাথে সাথে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। আর ডায়রিয়া প্রবন বিড়ালকে দুগ্ধ জাতীয় খাবার দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
সংক্রামক করিজা / ঠাণ্ডা (coryza, Infectious Cold, Rhinils,Roup)
সংক্রামক করিজা কবুতরের একটি জটিল সংক্রামক রোগ। এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে/ সংক্রামক রোগ। এটি Homophilus Gallinarum ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু থেকে এই রোগ সৃষ্টি হয়। শারীরিক ভাবে দুর্বল বা ২ থেকে ৭ সপ্তাহের বাচ্চা এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের সাথে একচোখ ঠাণ্ডা(one eye coldness)এর সাথে সাদৃশ্য আছে বা এই রোগের প্রাথমিক স্তর কেও বলা যেতে পারে।
কারনঃ
# পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব।
# স্যাঁতস্যাঁতে খামার বা মাচা/বাটি।
# Parasite এর আধিক্য।
# পরিবেশের ধুলা বা শুকনো বিষ্ঠা থেকে সৃষ্ট ধুলা।
# অতিরিক্ত crowded.
# ঔষধের যথেচ্ছ ব্যবহার।
# পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব।
# স্যাঁতস্যাঁতে খামার বা মাচা/বাটি।
# Parasite এর আধিক্য।
# পরিবেশের ধুলা বা শুকনো বিষ্ঠা থেকে সৃষ্ট ধুলা।
# অতিরিক্ত crowded.
# ঔষধের যথেচ্ছ ব্যবহার।
লক্ষনঃ
# প্রথমে নাক থেকে আঠাল ও ঘন হরিদ্রাভ/ সাদা পানির মত নির্গত হয়।
# চোখ থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত পানি বের হয়।
# চোখে পিচুটি জমে, এভাবে জমতে জমতে চোখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
# চোখ ও মাথা গায়ে ঘষতে থাকে বা পা দিয়ে মাথা চুলকাতে থাকে, ফলে চোখে পর লেগে ও গায়ে পিচুটি লেগে নোংরা হয়ে যায়।
# মাথা ও পাখা ঝুলে পড়ে।
# বুকে ঘর ঘর শব্দ করে,নাক প্রায় বন্ধ হয়ে আসে তাই শ্বাস হাঁ করে নিতে থাকে।
# চোখ থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত পানি বের হয়।
# চোখে পিচুটি জমে, এভাবে জমতে জমতে চোখ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
# চোখ ও মাথা গায়ে ঘষতে থাকে বা পা দিয়ে মাথা চুলকাতে থাকে, ফলে চোখে পর লেগে ও গায়ে পিচুটি লেগে নোংরা হয়ে যায়।
# মাথা ও পাখা ঝুলে পড়ে।
# বুকে ঘর ঘর শব্দ করে,নাক প্রায় বন্ধ হয়ে আসে তাই শ্বাস হাঁ করে নিতে থাকে।
# প্রথমে খুদামন্দা ও পরে একেবারেই খাবার বন্ধ করে দেয়।
# বাচ্চার চোখের চারপাশে পুঁজ জমে হলুদ আকার ধারন করে, তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে মারা যায়।
প্রতিরোধঃ
# বাচ্চার চোখের চারপাশে পুঁজ জমে হলুদ আকার ধারন করে, তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা না নিলে মারা যায়।
প্রতিরোধঃ
# আক্রান্ত কবুতরকে আলাদা করে দিন।
# খামার জীবাণুমুক্ত মুক্ত করুন।
# নিয়মিত খামার ও খাঁচা পরিস্কার করুন।
# আলোবাতাস চলাচলের প্রয়োজনীয় বাবস্থা করুন।
# খামারের জন্য আলাদা স্যান্ডেল,মাস্ক ও গ্লভস ব্যবহার করুন।
# বাইরে থেকে এসে খামারে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন।
# আগন্তক ও অতিথি থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
# মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
চিকিৎসাঃ
# খামার জীবাণুমুক্ত মুক্ত করুন।
# নিয়মিত খামার ও খাঁচা পরিস্কার করুন।
# আলোবাতাস চলাচলের প্রয়োজনীয় বাবস্থা করুন।
# খামারের জন্য আলাদা স্যান্ডেল,মাস্ক ও গ্লভস ব্যবহার করুন।
# বাইরে থেকে এসে খামারে প্রবেশ থেকে বিরত থাকুন।
# আগন্তক ও অতিথি থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
# মাছি ও অন্যান্য কীটপতঙ্গ থেকে খামার নিরাপদ রাখুন।
চিকিৎসাঃ
# A-PHENICOL EYE OIENMENT বা BEUFLOX-D EYE DROP দিতে হবে ২ ঘণ্টা পর পর।
# এটি সঙ্গে একবার প্রতিদিন চোখ ফ্লাশ/ওয়াশ করা প্রয়োজন হতে পারে, এক্ষেত্রে BORIC ACID সহায়ক চোখ ফ্লাশ/ওয়াশ হতে পারে। অথবা সবচেয়ে ভাল হয় ঔষধের দোকানে মানুষের চোখ ধোয়ার ঔষধ পাওয়া যায় সেটি ব্যবহার করলে।
# এই রোগের ক্রিয়াশীল তেমন কোন ঔষধ নাই, তবে doxivet 1 grm+emodis ¼ ১০ সিসি করে, দিনে ৩-৪ বার ব্যবহার করলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
# হোমিও Aptimtart 200, ৩ ঘণ্টা পর পর বাবহারে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
# চোখে যদি ছানি পড়ে তাহলে হোমিও Cunium 200, ৩ বার ৩ ফোটা করে অল্প একটু পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
# এই অবস্থায় একটু হালকা সেঁক দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
যেকোনো রোগ থেকে নিরাপদ থাকার অন্যতম শর্ত হল পরিস্কার পরিছন্ন খামার বাবস্থাপনা। আর এর কোন বিকল্প নাই। আপনি যতই ভিটামিন ও সুষম খাবার দেন এই শর্তটি পুরন না করলে, আপনার সব চেষ্টা ও পরিশ্রম বার্থ হয়ে যাবে।
কবুতরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন(Vitamin) ও খনিজ (Minarels)
কবুতরের ভিটামিন জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থ থাকে যা পায়রার শরীরের সঠিক ক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য। আর খনিজ পদার্থ মাটি এবং জল থেকে আসা এবং উদ্ভিদ দ্বারা শোষিত বা প্রাণী দ্বারা খাওয়া হয় যে অজৈব উপাদান। প্রতিটি প্রাণীর শরীরের কিছু খনিজ বৃহত্তর পরিমাণে প্রয়োজন। ভিটামিন ও খনিজ রোগ প্রতিরোধ করে ও এর ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ ভালো, তাই আপনার কবুতর কে নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ এর সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। নীচে ভিটামিন ও খনিজ এর উপকারিতা ও এর ওভাব জনিত সমস্যা নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলঃ
ভিটামিন প্রকারভেদঃ- ভিটামিন দুই গ্রুপ ভাগ করা যায় :
1 – দ্রবণীয়(Liposoluble) যা ক্ষুদ্রান্ত্র শোষিত হয় না। এই দলের A,D,E,এবং K এই সব ভিটামিনের দুইটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য আছে।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয়। খ) feces(তন্ত্রের) মাধ্যমে বের করে দেয় হয়।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয়। খ) feces(তন্ত্রের) মাধ্যমে বের করে দেয় হয়।
2 – জলবাহিত(Hidrosoluble) এই ভিটামিন B1, B2, B3, B6, B10, B12, OO, H,C এবং Choline হয়। ভিটামিন B12 ছাড়া এই সব ভিটামিনের আবার দুইটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য উপস্থিত রয়েছে।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয় না। খ) প্রস্রাব মাধ্যমে প্রক্ষিপ্ত হয়।
ক) শরীরের মধ্যে সংরক্ষিত হয় না। খ) প্রস্রাব মাধ্যমে প্রক্ষিপ্ত হয়।
• ভিটামিন A=>
– ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির ও পালোকেড় জন্য ভালো ও উদ্দীপকের কাজ করে।
– হাড় গঠনের জন্য খুব উপকারী।
– দৃষ্টি উন্নত করতে সাহায্য করে।
– হাড় গঠনের জন্য খুব উপকারী।
– দৃষ্টি উন্নত করতে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– ক্ষিদে না থাকা.
– পালক গঠনে সমস্যা।
– কঙ্কাল মধ্যে অস্বাভাবিকতা।
– দৃষ্টি সমস্যা।
– পালক গঠনে সমস্যা।
– কঙ্কাল মধ্যে অস্বাভাবিকতা।
– দৃষ্টি সমস্যা।
• ভিটামিন B1=>
– স্নায়বিক টিস্যুর সমর্থন কাজ করে।
– পেশী শক্তি উত্পাদন কাজে জড়িত।
– হজম সাহায্য করে।
– পেশী শক্তি উত্পাদন কাজে জড়িত।
– হজম সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পেশীতে পক্ষাঘাত।
– ক্লান্তির অত্যন্ত দ্রুত সূত্রপাত।
– ক্লান্তির অত্যন্ত দ্রুত সূত্রপাত।
• ভিটামিন B2=>
– বাচ্চার বেড়ে ঊঠা এবং উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
– দৃষ্টি উপকারিতা এবং চোখের ক্লান্তি উপশম করে।
– শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং হ্যাচিং করতে সাহায্য করে।
– দৃষ্টি উপকারিতা এবং চোখের ক্লান্তি উপশম করে।
– শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখা এবং হ্যাচিং করতে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পাখা ও পায়ের হাড়ের বিকৃত করে এবং পায়ের আঙ্গুল এর পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে।
– ডিমে বাচ্চার মৃত্যুর হার বৃদ্ধি করে।
– ডিমে বাচ্চার মৃত্যুর হার বৃদ্ধি করে।
• ভিটামিন B3=>
– খাদ্য শক্তিতে রুপান্তর করতে অপরিহার্য।
– অ্যান্টিবডি সংকলন করে এবং রোগ প্রতিরোধের অবদান রাখে।
– পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।
– ক্লান্তি প্রতিরোধ করে।
– অ্যান্টিবডি সংকলন করে এবং রোগ প্রতিরোধের অবদান রাখে।
– পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হ্রাস পায়।
– ক্লান্তি প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পালক ঝোড়ে এবং ত্বক সমস্যা সৃষ্টি করে।
– পায়রার বাচ্চ জীবনের প্রথম দিনের মধ্যে খুব দুর্বল ভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
– পায়রার বাচ্চ জীবনের প্রথম দিনের মধ্যে খুব দুর্বল ভাবে জন্মগ্রহণ করে এবং মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
• ভিটামিন B6=>
– স্নায়বিক রোগ প্রতিরোধ এবং পালক ও ত্বক উন্নত করে।
– প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে।
– প্রোটিন বিপাকে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– বিলম্বিত বৃদ্ধি।
– স্নায়ু সমস্যা।
– পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
– স্নায়ু সমস্যা।
– পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
• ভিটামিন B10=>
– অন্ত্রের প্যারাসাইট এবং খাদ্যে বিষক্রিয়া বিরুদ্ধে রক্ষা করে।
– রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাকে সাহায্য করে।
– রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাকে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
-বিলম্বিত বৃদ্ধি।
– রক্তাল্পতা।
– পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
– রক্তাল্পতা।
– পালক ও ত্বকে সমস্যা হয়।
• ভিটামিন B12=>
– আকৃতি গঠন ও লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।
– বৃদ্ধি শক্তি করে।
– তরুণ পায়রা ক্ষুধা ও শাড়ীড়ীক বৃদ্ধিতে সমর্থন করে।
– বৃদ্ধি শক্তি করে।
– তরুণ পায়রা ক্ষুধা ও শাড়ীড়ীক বৃদ্ধিতে সমর্থন করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– বিলম্বিত বৃদ্ধি.
– রক্তাল্পতা।
– ডিমে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
– রক্তাল্পতা।
– ডিমে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়।
• ভিটামিন C=>
– ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
– ইমিউন সিস্টেম এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
– উচ্চ চাপ(STRESS)পরিস্থিতিতে ও প্রতিরোধে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– ইমিউন সিস্টেম এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
– উচ্চ চাপ(STRESS)পরিস্থিতিতে ও প্রতিরোধে বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– মানসিক চাপ সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়।
– Eggshell ভঙ্গুর হয়।
– Eggshell ভঙ্গুর হয়।
• Choline =>
– লিভার ফাংশন উৎসাহিত করে।
– হাড় গঠনের সাথে জড়িত।
– হাড় গঠনের সাথে জড়িত।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– নেভিগেশন কমে যাওয়া।
– স্বাভাবিক চেয়ে ছোট আকারের ডিম পারে।
– স্বাভাবিক চেয়ে ছোট আকারের ডিম পারে।
•ভিটামিন D3=>
– অন্ত্র মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ বাড়ে।
– অনুকূল পেশী বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– পায়রার জাত উন্নয়নে সাহায্য করে।
– অনুকূল পেশী বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– পায়রার জাত উন্নয়নে সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– রিকেট(Rickets) রোগ হয়।
– তরুণ পায়রা মধ্যে হাড় ও অঙ্গবিকৃতি ঘটে।
– Eggshell ভঙ্গুর হয়।
– তরুণ পায়রা মধ্যে হাড় ও অঙ্গবিকৃতি ঘটে।
– Eggshell ভঙ্গুর হয়।
• ভিটামিন E=>
– উর্বরতা বৃদ্ধি তে উৎসাহিত করে।
– পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের মসৃণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
– ক্লান্তি দূর করে।
– পেশী এবং স্নায়ুতন্ত্রের মসৃণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
– ক্লান্তি দূর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– উর্বরতা হ্রাস পায়.
– খারাপ ডিম পাড়া।
– খারাপ ডিম পাড়া।
• ভিটামিন K=>
– এটা রক্তজমাট সাহায্য করে।
– হাড় জমাটকরণ এ অবদান রাখে।
– রক্ত আমাশয় প্রতিরোধ করে।
– হাড় জমাটকরণ এ অবদান রাখে।
– রক্ত আমাশয় প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– স্বতঃস্ফূর্ত রক্ত প্রবাহিত করতে সাহায্য করে।
– গায়ে ও পালকের নীচে কালশিরা পড়ে।
– গায়ে ও পালকের নীচে কালশিরা পড়ে।
• ক্যালসিয়াম=>
– শক্তিশালী পেশী ও হাড় গঠনে উপকারিতা।
– নার্ভ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
– রক্ত রক্তজমাট ও স্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন জন্য প্রয়োজন।
– রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
– রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
– পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
– নার্ভ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
– রক্ত রক্তজমাট ও স্বাভাবিক হৃত্স্পন্দন জন্য প্রয়োজন।
– রক্তে কলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
– রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
– পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– হাড় বিকলাঙ্গতা
– হৃদয় বুক ধড়ফড় বা অস্বাভাবিক হৃদয় rhythms ;
– উচ্চতর কলেস্টেরলের মাত্রা।
– দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও গুরুতর ক্ষুধার অভাব,
– আঙ্গুল বেঁকে যাওয়া।
– অসাড়তা জন্মাতে পারে যে অত্যধিক নার্ভ কার্যকলাপ হতে পারে।
– হৃদয় বুক ধড়ফড় বা অস্বাভাবিক হৃদয় rhythms ;
– উচ্চতর কলেস্টেরলের মাত্রা।
– দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও গুরুতর ক্ষুধার অভাব,
– আঙ্গুল বেঁকে যাওয়া।
– অসাড়তা জন্মাতে পারে যে অত্যধিক নার্ভ কার্যকলাপ হতে পারে।
• ক্লোরাইড =>
– কোষের মধ্যে ভারসাম্য এবং শরীরে তরল এর পরিমান বজাই রাখে।
– পুষ্টির হজম এবং শোষণ জন্য অত্যাবশ্যক যে পেট দ্বারা নিঃসৃত পাচকরস এর
কম্পোনেন্ট হিসাবে কাজ করে।
– পুষ্টির হজম এবং শোষণ জন্য অত্যাবশ্যক যে পেট দ্বারা নিঃসৃত পাচকরস এর
কম্পোনেন্ট হিসাবে কাজ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পেশীর দুর্বলতা।
– ঝিমুনি ও পানিশূন্যতা হতে পারে।
– ঝিমুনি ও পানিশূন্যতা হতে পারে।
• ক্রোমিয়াম=>
– এটা প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং ইনসুলিন এর কাজ করে।
– রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
– ডিএনএ, কোষে জিনগত উপাদান নির্মাণ প্রয়োজন হয়।
– রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে।
– ডিএনএ, কোষে জিনগত উপাদান নির্মাণ প্রয়োজন হয়।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– ইনসুলিন প্রতিরোধের বা রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণের ও গ্লুকোজ অসহিষ্ণুতা ।
• কপার=>
– বিশোষণ, পরিবহন এবং লোহা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন।
– হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত গঠনের জন্য প্রয়োজন।
– ত্বক নমনীয় কিন্তু শক্ত রাখে ও পালকের উন্নতি করে।
– পেশী অন্যান্য শরীরের টিস্যু গঠনে সমর্থন করে, এবং রোগ নিরাময় জন্য গুরুত্বপূর্ণ
– হিমোগ্লোবিন এবং লোহিত গঠনের জন্য প্রয়োজন।
– ত্বক নমনীয় কিন্তু শক্ত রাখে ও পালকের উন্নতি করে।
– পেশী অন্যান্য শরীরের টিস্যু গঠনে সমর্থন করে, এবং রোগ নিরাময় জন্য গুরুত্বপূর্ণ
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– হাড় উন্নয়নে বাধা বা অস্বাভাবিকতা।
– ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে ।
– ত্বক বা পালকের রঙ ক্ষতিকরে।
– ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে ।
– ত্বক বা পালকের রঙ ক্ষতিকরে।
• ফ্লোরাইড=>
– ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী।
– সুস্থ হাড় বজায় রাখে ও হাড় শক্তিশালী এবং হাড় ভাঙা প্রতিরোধ করায় সাহায্য করে।
– সুস্থ হাড় বজায় রাখে ও হাড় শক্তিশালী এবং হাড় ভাঙা প্রতিরোধ করায় সাহায্য করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– ভঙ্গুর বা দুর্বল হাড়।
– ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বাড়ে।
– ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বাড়ে।
• আয়োডিন=>
– থাইরয়েড গ্রন্থি সঠিক ক্রিয়ার জন্য অপরিহার্য।
– সেল বিপাক প্রয়োজন এবং খাদ্য কে শক্তিকে রূপান্তর করে।
– সেল বিপাক প্রয়োজন এবং খাদ্য কে শক্তিকে রূপান্তর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা ।
– ঘনঘন ঠান্ডা, ক্লান্তি বা দুর্বলতা ইত্যাদি
– ঘনঘন ঠান্ডা, ক্লান্তি বা দুর্বলতা ইত্যাদি
• লোহা=>
– শরীরের সব অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যে লাল রক্ত কোষে হিমোগ্লোবিন
উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
– স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন।
উৎপাদনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
– স্বাস্থ্যকর ইমিউন সিস্টেম এবং সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– লোহা-অভাবজনিত রক্তাল্পতা, শক্তির অভাব, দ্রুত হৃত্স্পন্দন, শ্বাসকষ্ট, অন্তর্ভুক্ত। –
– বিষক্রিয়া ঝুঁকি বেড়ে যায়।
– বিষক্রিয়া ঝুঁকি বেড়ে যায়।
• ম্যাগনেসিয়াম=>
-ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস, সাথে সুস্থ হাড় ও দাঁতের গঠন একটি বড় ভূমিকা পালন করে।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাকের জন্য অত্যাবশ্যক।
– শক্তি উত্পাদনে ভূমিকা পালন করে।
– নিউরো-পেশীবহুল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাকের জন্য অত্যাবশ্যক।
– শক্তি উত্পাদনে ভূমিকা পালন করে।
– নিউরো-পেশীবহুল সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পেশী দুর্বলতা, টাল, খিচুনি দেখা দিতে পারে।
– ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।
– ক্ষুধামান্দ্য হতে পারে।
• ম্যাঙ্গানিজ=>
– শক্তি উত্পাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
– ভিটামিন B1-(থায়ামাইন), biotin, choline, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, এবং ভিটামিন ই এর মত অন্যান্য পুষ্টি সদ্ব্যবহার করে।
– ক্ষত নিরাময় জন্য প্রয়োজন।
– একটি সুস্থ প্রজনন সিস্টেমের জন্য আবশ্যক।
– সুস্থ স্নায়ু রক্ষণাবেক্ষণ করে।
– সঠিক লোহা বিপাক জন্য অপরিহার্য ।
– বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সাথে একযোগে কাজ করে।
– ভিটামিন B1-(থায়ামাইন), biotin, choline, অ্যাসকরবিক অ্যাসিড, এবং ভিটামিন ই এর মত অন্যান্য পুষ্টি সদ্ব্যবহার করে।
– ক্ষত নিরাময় জন্য প্রয়োজন।
– একটি সুস্থ প্রজনন সিস্টেমের জন্য আবশ্যক।
– সুস্থ স্নায়ু রক্ষণাবেক্ষণ করে।
– সঠিক লোহা বিপাক জন্য অপরিহার্য ।
– বি কমপ্লেক্স ভিটামিন সাথে একযোগে কাজ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– লোহা-অভাবজনিত রক্তাল্পতা।
– অত্যধিক হাড়ের ক্ষয় ।
– ত্রুটিপূর্ণ প্রজনন ।
– পক্ষাঘাত, হাড়ের বৃদ্ধি বা কঙ্কাল অস্বাভাবিকতা বা বৈকল্য ঘটে।
– অত্যধিক হাড়ের ক্ষয় ।
– ত্রুটিপূর্ণ প্রজনন ।
– পক্ষাঘাত, হাড়ের বৃদ্ধি বা কঙ্কাল অস্বাভাবিকতা বা বৈকল্য ঘটে।
• MOLYBDENUM =>
– স্বাভাবিক কোষ ফাংশন উৎসাহিত করে।
– (ভিটামিন B2) সঙ্গে কাজ করে ।
– শরীরের নাইট্রোজেন ব্যবহারে করতে সক্ষম।
– (ভিটামিন B2) সঙ্গে কাজ করে ।
– শরীরের নাইট্রোজেন ব্যবহারে করতে সক্ষম।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– শ্বাস বা হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি।
– রাত কানা রোগ।
– বয়স্ক male এর মধ্যে যৌন শক্তিহীনতা।
– রাত কানা রোগ।
– বয়স্ক male এর মধ্যে যৌন শক্তিহীনতা।
• ফসফরাস=>
– সুস্থ হাড় গঠন ক্যালসিয়াম সঙ্গে কাজ করে।
– কোষ এবং টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজন।
– শক্তি বহন শরীরের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
– শক্তি উত্পাদন ও শর্করা বিপাকে প্রয়োজন।
– কোষ এবং টিস্যু বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রয়োজন।
– শক্তি বহন শরীরের ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
– শক্তি উত্পাদন ও শর্করা বিপাকে প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– পাখা ও পায়ের মধ্যে অসাড়তা ।
– সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রবণতা।
– ক্লান্তি বা পেশী দুর্বলতা ।
– রক্তাল্পতা, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন ক্ষতি।
– সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রবণতা।
– ক্লান্তি বা পেশী দুর্বলতা ।
– রক্তাল্পতা, ক্ষুধা এবং ওজন পরিবর্তন ক্ষতি।
• পটাসিয়াম=>
– স্বাভাবিক শরীর বৃদ্ধি এবং পেশী-বিল্ডিং জন্য প্রয়োজন ।
– অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণ জড়িত।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং সঞ্চয় করার জন্য প্রয়োজন।
– অ্যামিনো অ্যাসিড থেকে প্রোটিন সংশ্লেষণ জড়িত।
– কার্বোহাইড্রেট বিপাক এবং সঞ্চয় করার জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– সঞ্চিত গ্লাইকোজেন কমে যাওয়ার কারণে ক্লান্তি; পেশী দুর্বলতা পেশী সংকোচন, পক্ষাঘাত ইত্যাদি হতে পারে ।
– শ্বাস বা দরিদ্র ফুসফুসের ফাংশন ক্ষুদ্রতা, এবং এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসফুসের পক্ষাঘাতও হতে পারে।
– শ্বাস বা দরিদ্র ফুসফুসের ফাংশন ক্ষুদ্রতা, এবং এমনকি গুরুতর ক্ষেত্রে ফুসফুসের পক্ষাঘাতও হতে পারে।
• সেলেনিয়াম=>
– বিশেষ করে ভিটামিন ই সঙ্গে একযোগে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে কাজ করে।
– ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ডিএনএ মেরামতের করে।
– ভারী ধাতু বিষাক্ত প্রভাব বিরুদ্ধে শরীরের রক্ষা করে।
– ইমিউন সিস্টেম boosting দ্বারা ভাইরাস অগ্রগতি মন্থর করে।
– ক্ষতিগ্রস্ত কোষের ডিএনএ মেরামতের করে।
– ভারী ধাতু বিষাক্ত প্রভাব বিরুদ্ধে শরীরের রক্ষা করে।
– ইমিউন সিস্টেম boosting দ্বারা ভাইরাস অগ্রগতি মন্থর করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– চাপ ও অসুস্থতা থেকে প্রবণতা দুর্বল ইমিউন সিস্টেম।
– ঠান্ডা, ঝিমানো, ওজন বৃদ্ধি, ভারী কুসুম, শুষ্ক ত্বক lethargy, ক্লান্তি ইত্যাদি।
• সোডিয়াম =>
– ঠান্ডা, ঝিমানো, ওজন বৃদ্ধি, ভারী কুসুম, শুষ্ক ত্বক lethargy, ক্লান্তি ইত্যাদি।
• সোডিয়াম =>
– পেশী সংকোচন এবং নার্ভ সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ জন্য অত্যাবশ্যক ।
– পানি এবং শরীরের তরল সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– পেট ফাংশন এর জন্য প্রয়োজন।
– পানি এবং শরীরের তরল সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– পেট ফাংশন এর জন্য প্রয়োজন।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– Dehydration, দুর্বলতা বা ঝিমানো।
• দস্তা =>
– শরীরের ইমিউন সিস্টেমের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য দস্তা অপরিহার্য ।
– কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন বিপাক জড়িত।
– কোষ বিভাজন এবং জেনেটিক কোষের ডিএনএ সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে।
– ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
– প্রজনন স্বাস্থ্য ও শুক্রাণু পূর্ণতা জন্য প্রয়োজন।
– স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য,প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজন।
– কাংকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করে।
– কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিন বিপাক জড়িত।
– কোষ বিভাজন এবং জেনেটিক কোষের ডিএনএ সংশ্লেষ নিয়ন্ত্রণ করে।
– ভ্রূণের স্বাভাবিক বিকাশের জন্য প্রয়োজন।
– প্রজনন স্বাস্থ্য ও শুক্রাণু পূর্ণতা জন্য প্রয়োজন।
– স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য,প্রোটিন সংশ্লেষণ এবং কোলাজেন গঠনের জন্য প্রয়োজন।
– কাংকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করে।
অভাব জনিত সমস্যাঃ
– নিউমোনিয়া ও অন্যান্য সংক্রমণের প্রবণতা।
– ধীর ক্ষত নিরাময়।
– অক্ষুধা; ওজন হ্রাস, ডায়রিয়া জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
– ধীর ক্ষত নিরাময়।
– অক্ষুধা; ওজন হ্রাস, ডায়রিয়া জনিত সমস্যা সৃষ্টি করে।
আপনি যদি আপনার খামারের প্রয়োজন অনুপাতে প্রতিমাসে নিয়মিত ভিটামিন ও খনিজ(minarels) এর সরবরাহ নিশ্চিত করেন, আশা করা যায় যে আপনার খামার অনেক অনাখাংকিত সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকবে।
কবুতরের রক্ত আমাশয়-রোগ (Coccidiosis / Coccidia)
রোগ পরিচিতি
কবুতরের রক্ত আমাশয়
Coccidiosis coccidian সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট রোগ কবুতরের একটি মারাত্মক ও ছোঁয়াচে রোগ । এক ধরনের এককোষী প্রাণী দ্বারা সৃষ্ট পরজীবীয় রোগ যা প্রাণীর আন্ত্রিকে বিস্তার লাভ করে। এই রোগের জীবাণূ একটা আবরণে ঢাকা থাকে। ঐ অবস্থাকে বলা হয় UCHIT, মলের সংগে এটি মাটিতে পড়ে । মাটিতে তাপ আর জলীয় আবহাওয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে পেকে ঊঠে। খাবার ও জলের মাধ্যমে এই জীবাণূ পাটে যায়। ফলে ভাল কবুতরও সংক্রমিত হয়। সাধারণত বর্ষাই এই রোগ বেশী হয়। এটি রোগ সংক্রামিত হয় টিস্যু যা খাবাররের মাধমে এক প্রাণী থেকে অন্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে ডায়রিয়া,হালকা সবুজ এবং গুরুতর ক্ষেত্রে রক্ত যেতে পারে।. Coccidia আক্রান্ত অধিকাংশ প্রাণী অনেক সময় কোন লক্ষণ দেখা যায় না। যাইহোক, তরুণ বা ইমিউন-সংকটাপন্ন প্রাণীর মৃত্যু সহ গুরুতর শারীরিক সমস্যাই ভুগতে পারে। stress, অস্বাস্থ্যকর খাদ্য এবং পানি অথবা অপরিস্কার খামারই এর প্রধান কারণ। 2 সপ্তাহ থেকে ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই রোগ বেশি হয়,তবে বয়স্ক কবুতরের ও হতে পারে। এই সময় অন্ত্র ফুলে গিয়ে রক্তে ভরে যায়। আর তাই পায়খানার সাথে রক্ত পড়ে। সাধারণত এই রোগে সঠিক সময় চিকিৎসা না দিলে পাখী মারা যায়। রোগে মৃত্যুর হার ৯০% ভাগ।
কবুতরের Coccidiosisঃ
Coccidiosis প্রজনন কারণে খাওয়ানোর দ্বারা দূষিত Aviary বা খাঁচা মেঝে, সাম্প্রদায়িক জল সরবরাহ বা এক কবুতর থেকে অন্য কবুতরে পায়খানার মাধমে ছড়ায় ।
উপসর্গ/লক্ষণ :
• খাবারের সম্পূরক সহায়তায়র পরও অত্যধিক ওজন হ্রাস।
• Diarrhoea অথবা অধিক উজ্জ্বল সবুজ বা রঙ হলুদ, যা ফোঁটা ফোঁটা করে. (Watery)
রক্ত সহ বা ছাড়া
• Diarrhoea
• পালক ও শারীরিক অবস্থা নোংরা হতে পারে।
• পাখা ঝুলে যাওয়া ।
• ক্ষুধামান্দ্য
• এক জায়গায় ঝিমানো।
• শারীরিক ভারসাম্যহীনতা ও দাঁড়াতে অক্ষম।
• Dehydration।
• দ্রুত মৃত্যু।
• খাবারের সম্পূরক সহায়তায়র পরও অত্যধিক ওজন হ্রাস।
• Diarrhoea অথবা অধিক উজ্জ্বল সবুজ বা রঙ হলুদ, যা ফোঁটা ফোঁটা করে. (Watery)
রক্ত সহ বা ছাড়া
• Diarrhoea
• পালক ও শারীরিক অবস্থা নোংরা হতে পারে।
• পাখা ঝুলে যাওয়া ।
• ক্ষুধামান্দ্য
• এক জায়গায় ঝিমানো।
• শারীরিক ভারসাম্যহীনতা ও দাঁড়াতে অক্ষম।
• Dehydration।
• দ্রুত মৃত্যু।
ট্রান্সমিশন বা সংক্রমণ:
coccidia এর সংক্রামক পর্যায়ে মুল কিছু কারণ থাকে যেমন দূষিত পানির উৎস, অন্যান্য প্রাণী, কীটপতঙ্গ এবং মানুষের সংস্পর্শ , অপরিষ্কার পাত্র ও সরঞ্জাম মাধ্যমে ইত্যাদি। অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক পাখির প্যারাসাইট থেকে অসুস্থটা বিকশিত হয়। বয়স্ক কবুতর যারা আগেও আক্রান্ত হয়েছিলো তারা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারে কোনো ক্লিনিকাল লক্ষণ ছাড়াই । এসব ক্ষেত্রে নতুন/YOUNG কবুতর এদের কারণে সংক্রামিত হতে পারে। আক্রান্ত কবুতর বা পাখি কে অবশ্যই আলাদা করে ফেলতে হবে।
প্রতিরোধ:
• Aviary বা খাঁচার ঘন ঘন পরিস্কার।
• নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত নতুন বা YOUNG কবুতরের সঙ্গরোধ।
• নিয়মিত মল coccidia জন্য পরীক্ষা করতে হবে
• বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
• আর্দ্রতা রাখতে হবে।
• বিশুদ্ধ খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
• ইঁদুর বা এই ধরণের প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বিশেষ করে মাছি।
• ঠাসাঠাসি করে কবুতর রাখা যাবেনা ।
• খাঁচা বা কবুতর সরানো বা নাড়াচাড়ার আগে খাঁচার উপর আবরণ দিতে হবে।
• জীবাণু বিরোধী স্প্রে করতে হবে।
ঔষধ:
• নিশ্চিত না হাওয়া পর্যন্ত নতুন বা YOUNG কবুতরের সঙ্গরোধ।
• নিয়মিত মল coccidia জন্য পরীক্ষা করতে হবে
• বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
• আর্দ্রতা রাখতে হবে।
• বিশুদ্ধ খাবার ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
• ইঁদুর বা এই ধরণের প্রাণী নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
• কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বিশেষ করে মাছি।
• ঠাসাঠাসি করে কবুতর রাখা যাবেনা ।
• খাঁচা বা কবুতর সরানো বা নাড়াচাড়ার আগে খাঁচার উপর আবরণ দিতে হবে।
• জীবাণু বিরোধী স্প্রে করতে হবে।
ঔষধ:
১) Doxivet (Doxicyciline)+ AMODIS (Human) ১ গ্রাম + ½ Amodis+১ গ্রাম স্যালাইন ৩০ মীলীঃ/ সি সি পানিতে মীক্স করে ১০ সি সি করে হাতে ধরে খাওয়াতে হবে দিনে ৩ বার।
২) হোমিও Acid Fos 200 ২ ফোটা করে ৫/৭ বার দিনে অল্প একটু পানির সাথে খাওয়াতে হবে।
৩) PAICHISH(হামদারদ) ১/২ ট্যাবলেট করে দিনে ২ বার। এটা সহায়ক হিসাবে দিতে হবে।
৪) নিয়মিত তরল খাবার যেমন আটা গুলা,সাবু বার্লি বা চালের স্যালাইনে দিতে হবে। শক্ত খাবার না দিয়াই ভাল কারন বমি হতে পারে। (খাবার ধরে খাওয়াতে হবে।)
৫) হালকা গরম পানি সরবরাহ করতে হবে।
সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, যে কবুতর যে পড়ে থাকা খাবার না খাই, আর এটা তখনি নিশ্চিত করা সম্ভব যখন আপনি আপনার খামার পরিস্কার রাখবেন। খেয়াল রাখতে হবে যেন আক্রান্ত কবুতর প্রয়োজনীয় আদ্রতা পায়,কারন লিভারের ১২০ ফা বা ৪৯ সেলঃ এই রোগের জীবাণু মারা যায়(তাই বলে আবার গরম কিছু খাওয়ানো ঠিক হবে না)। প্রতিরোধ থেকে প্রতিকার ভাল, তাই আমাদের আগে প্রতিরোধের বাবস্থা নিতে হবে আগে।
কবুতরের দুর্বল পা / ডানা পক্ষাঘাত(Weak Leg/Wings Paralysis)
কবুতরের দুর্বল পা বা পক্ষাঘাত & উইং পক্ষাঘাত একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ (Salmonellosis / Paratyphoid বা PMV-1 (Paramyxovirus সংক্রমণ) দ্বারা সৃষ্ট হয়। আরেকটি কারণ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি এর অভাব, এটা কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে তার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। এটি ছোট পায়রার মৃত্যুহার খুবই বেশি । Salmonellae বিশেষ ফর্ম দ্রুত খাদ্য সংক্রমনে মাধমে বেঁচে থাকে যা পাখির অন্ত্রে সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্ত্রের দেয়াল এর মাধ্যমে তারা রক্তধারায় সহজেই মিশে যায়। সেখান থেকে রক্ত পুরো শরীর জুড়ে রোগ বহন করে। রোগ সংক্রমণকারী জীবাণু স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে ফলে অন্ত্রে বেদনাদায়ক প্রদাহ হতে পারে। পায়রা জয়েন্টগুলোতে মধ্যে ফুলে যায়, এই জয়েন্টগুলোতে তরল বৃদ্ধি পায় ও পরে সংকলন দ্বারা ক্ষীণভাবে এর প্রদাহ হয়। পায়রার দ্বারা নিজেই জয়েন্টগুলোতে মুখ দিয়ে ব্যথা উপশমের বার্থ চেষ্টা করে। সাধারণত রোধ পৌছায় না এমন ক্ষেত্রে এই ঘটনা বেশি হয়।
প্রকারভেদ :
প্রকারভেদ :
Marek ডিজিজ – প্রধানত বয়স ১৬ সপ্তাহ পাখির মধ্যে বেশি দেখা যায়। বর্ষা ও শীতে এই রোগের প্রকপ বেশি।
উপসর্গ: পা অথবা পাখা পক্ষাঘাত, উচ্চ মৃত্যুহার, আন্তরয়ন্ত্রীয়(নাড়ি অঙ্গ উপর) টিউমার। শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা এবং ঘাড় (stargazing) এর মোচড়ের কম্পন, পা এবং পাখা পক্ষাঘাত বা বেঁকে যাওয়া 1 বা 2 দিনের মধ্যে দেখা দেয় । বয়স্ক পাখিদের ৪ থেকে ৬ দিন পর কিছু শ্বাসযন্ত্রের পীড়া হয় এবং পক্ষাঘাতের কারনে উত্পাদন(ব্রিডিং) ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এই সব নিউক্যাসল(রানীক্ষেত রোগ) এর উপসর্গও হতে পারে।
চিকিত্সা:
Nuro B অথবা Nurobion ইনজেকশন … প্রথমে এটি বমি উপসর্গ হতে পারে কিন্তু পরে তা ঠিক হয়ে যাবে , তাই এটি সকালে খালিপেটে প্রয়োগ করা ভাল। ইনসুলিন সিরিঞ্জ , 1/3 সিসি ৬/৭ দিন বুকের নরম জায়গা দিতে হবে। এছাড়াও ভিটামিন Sancanl P অথবা Cal D এর সঙ্গে Calcaria Curb-30 (হোমিও) or Cal. Phos. 12X (বাইও কেমিক), দিতে ২/৩ বার করে দিতে হবে অল্প একটু পানির সাথে।
সব সময় একটা কথা মনে রাখতে হবে যে Calcium এর সাথে ভিটামিন D যোগ করে দিতে হবে, তা না হলে Calcium ঠিকমত শরীরে শোষিত হবে না, ফলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে।
কবুতরের ক্যাঙ্কার (Cankar or Trichomoniasis)
ক্যাঙ্কার হল কবুতরের সবচেয়ে ব্যাপক সাধারণ রোগ। এটা আণুবীক্ষণিক প্রটোজোয়াটিক জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট খুবই বেদনাদায়ক ও সংক্রমিত রোগ। সাধারণত পানীয় জলের মাধ্যমে বা বাচ্চা খাওয়ানো ইত্তাদির মাধ্যমে সংক্রামিত হতে পারে। যদি তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না করা হয় তাহলে নির্ঘাত মৃত্যু। যদিও অনেকে মনে করে থাকেন যে এটা বর্ষার রোগ কিন্তু কথাটা সঠিক নয়। এই রোগ যেকোনো সময় হতে পারে। অভিজ্ঞ জন বলে থাকেন যে ভিজা nest bowl এই রোগের অন্যতম কারন হতে পারে।
লক্ষণসমূহ:
• খাবার বার বার ঠোঁটে নেয় কিন্তু গিলতে পারেনা যা অন্যতম একটি চিহ্ন হতে পারে।
• সংক্রমিত কবুতর কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়।
• গলা এবং ঠোঁটের মধ্যে হলুদ ও সাদা আস্তরন দেখা যায়।
• সংক্রমিত কবুতর কার্যকলাপ কমিয়ে দেয়।
• গলা এবং ঠোঁটের মধ্যে হলুদ ও সাদা আস্তরন দেখা যায়।
• পাখা ঝুলে যাওয়া।
• পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায় এবং ডায়রিয়া।
• খাবারে অনীহা।
• ওজন হ্রাস এবং দুর্বলতা
• পাখি উড়তে অনিচ্ছুক।
• রোগের উন্নত পর্যায়ে(ADVANCE STAGE) আঁশাল শ্লৈষ্মিক এবং নিকৃষ্ট রকমের গন্ধ মুখের মধ্যে সনাক্ত করা হয়
• ইয়াং পাখি সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়।
• পানির তৃষ্ণা বেড়ে যায় এবং ডায়রিয়া।
• খাবারে অনীহা।
• ওজন হ্রাস এবং দুর্বলতা
• পাখি উড়তে অনিচ্ছুক।
• রোগের উন্নত পর্যায়ে(ADVANCE STAGE) আঁশাল শ্লৈষ্মিক এবং নিকৃষ্ট রকমের গন্ধ মুখের মধ্যে সনাক্ত করা হয়
• ইয়াং পাখি সবচেয়ে বেশী সংক্রমিত হয়।
প্রতিরোধ:
• পায়রার lofts পরিষ্কার এবং শুষ্ক রাখুন।
• পরিষ্কার ফুটানো পানি এবং ফাঙ্গাস মুক্ত খাদ্য দিন।
• খামার থেকে পায়রা আলাদা করুন।
• জীবাণুমুক্ত স্প্রে করুন।
• নিয়মিত ভিটামিন সি ও লাল চা ক্যাঙ্কার প্রতিরোধে ভাল ভুমিকা রাখে।
• পরিষ্কার ফুটানো পানি এবং ফাঙ্গাস মুক্ত খাদ্য দিন।
• খামার থেকে পায়রা আলাদা করুন।
• জীবাণুমুক্ত স্প্রে করুন।
• নিয়মিত ভিটামিন সি ও লাল চা ক্যাঙ্কার প্রতিরোধে ভাল ভুমিকা রাখে।
চিকিৎসা:
১) প্রভাবিত এলাকার উপর MYCON ORAL GEL দিনে 2/3 বার লাগাতে হবে। (কখনও লাগানর জন্য তুলা বা (cotton bar) ব্যবহার করবেন না।
২) Riboflabin ট্যাব 2 টা দিনে ২ বার গুড়া করে খাওয়াতে হবে ।
৩) Liquid খাদ্য যেমনঃ বার্লি,আটা গুলিয়ে খাওয়াতে হবে, ১০ সিসি করে, নিয়মিত সালিনে দিতে হবে। তবে অতিরিক্ত খাওয়ানো যাবে না।
৪) প্রতিদিন Alo Vera প্রতিদিন ১ বার দিলে ভাল।
৫) হোমিও Acid Nit 30 তিন ফোটা অল্প জল দিয়ে মিশ্রণ করে ৩/৪ বার প্রদান করুন।
অথবা
৬) DEXATAB+Tetracycline+Milk of Magnesia+Flazil (human) মিক্স করে খওয়াতে পারেন অধিক হলে। অথবা
৭) ESP Mix (Vet) দিতে পারেন যা পশুপাখির জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি।
ঔষধ প্রক্রিয়া কমপক্ষে ৫/৭ দিন চালিয়ে যাওয়া উচিত যতক্ষণ না পাখি নিজে খাদ্য গ্রহণ শুরু করে। এভাবে চিকিৎসা করলে আশা করা যায় কবুতর দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
কবুতরের কেন ডিম ভাঙ্গে ও খায়
দেশে ও বিদেশে এমন কোন খামারী নাই যিনি কবুতরের ডিম ভেঙ্গে ফেলার অভিজ্ঞতা দেখেননি। কম বেশী সব খামাড়ীকেই এই ধরণের খারাপ অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আর আগুনে ঘী ঢালার মতো হয় যদি ডিম ইচ্ছে করে ভেঙ্গে এবং তা খেয়ে ফেলে……! কবুতরের কেন ডিম ভাঙ্গে ও খায়? অনেক বড় বড় খামাড়ী এর কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বা হয়ত জানেন কিন্তু কারো সংগে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করতে চান না। সে যাই হোক। এক্ষেত্রে অনেকে ভাগ্য কে দোষ দেন, অনেকে কবুতর কে দোষ দেন ইত্যাদি। আর এসব বলে নিজের মনকে এক ধরণের সান্ত্বনা দিবার একটা অপচেষ্টা করা হয়। কিন্তু আসলে এর কারন যদি অনুসন্ধান করি তাহলে আমরা আমাদের কেই বেশী দোষারোপ করতে পারি।
এখন আসুন আমরা একটু সংক্ষেপে জেনেনেয় এর মূল কারণঃ
# কবুতর জোড়া যখন নতুন ডিম পাড়ার সময় হয় তখন স্বভাবতই একটু উত্তেজিত ও নার্ভাস থাকে। আর এই সময় তারা লাফালাফী করে ডিম ভেঙ্গে ফেলে।
# কবুতর জোড়া যখন নতুন ডিম পাড়ার সময় হয় তখন স্বভাবতই একটু উত্তেজিত ও নার্ভাস থাকে। আর এই সময় তারা লাফালাফী করে ডিম ভেঙ্গে ফেলে।
# পর্যাপ্ত জায়গার অভাব, অসমান বাটী, বাটীতে প্রয়োজনীয় উপাদান (খর কুটা) বা নরম কিছু না দেওয়া।
# যখন একই বাটি না ধুয়ে অনেকের জন্য ব্যবহার করলে।
# কাঁক বা অন্য পাখী বা এর মাধ্যমে বিরক্ত হলে।
# পর্যাপ্ত ও সুষম খাবার সরবরাহ না করা।
# নিয়মিত গ্রিট না দেওয়া।
# ভিটামিন, ক্যালসিয়াম বা প্রয়োজনীয় খনিজ এর অভাব হলে।
# অতিরিক্ত আলো (ডিমে বসা অবস্থায় বেশি আলো হলে তারা অসুবিদা বোধ করে) ।
# লবনের অভাব হলে। নর ও মাদী মারামারি করে ডিমে বসার জন্য আর এটা করতে তারা ডিম ভেঙ্গে ফেলে।
# খামারে বা এর কাছে জোরে শব্দ করলে।
# খামারে বেশী গাদাগাদি করে কবুতর রাখলে।
# বারবার ডিম ধরলে অথবা কবুতর কে ডিম থেকে ঊঠালে।
# অনেক সময় বাচ্চা ফুটার পর ডিমের খোসা না সরালে কবুতর খোসা খেয়ে ফেলে,আড় এ থেকেও ডিম খাওয়ার অভ্যাস হতে পারে।
সাধারণত ভাঙা ডিম নিয়মিত অভ্যাস হলে তারা মাঝে মধ্যে তা থেকে স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করে, আর এটা ক্রমাগত হতে থাকলে, তারা ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ঊঠে। আর একবার এই অভ্যাস হলে তা কাটানো খুবই কঠিন । এজন্য নীচের কিছু কাজ আপনাকে হইত কিছুটা হলেও সাহায্য করবেঃ
১# ডিম ভাঙ্গার যতগুলো কারণ আছে তা দূর করতে হবে।
২# ভাঙ্গা ডিম তাড়াতাড়ি বাটী থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।
৩# যে জোড়া ডিম খাবার অভ্যাস আছে তার কাছ থেকে ডিম সরিয়ে প্লাস্টিক ডিম দিতে হবে (উপরের ছবি)। যাতে তাতে ঠোকর দিলেও তা না ভাঙ্গে এতে ওদের অভ্যাস বদলাবে।
৪# নিয়মিত অ্যামিনো এসিড,ক্যালসিয়াম ও খনিজ সরবরাহ করতে হবে।
৫# নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা।
৬# প্রয়োজন হলে একটা ডিম ভেঙ্গে তাতে গোল্মোড়ীশ মীক্স করে দিতে হোভে যাতে তারা খাবার সময় তার স্বাদ তা খারাপ লাগে তাহলে সে পরে সে আর ডিম খেটে চাইবে না।
৭# ডিম পাড়ার জায়গাটা একটু অন্ধকার রাখতে হবে যাতে ডিম ভাঙ্গার সুযোগ না পায়।
৮# ভালো বাটী সরবরাহ করা ও ডিম পাড়ার আগে তা দিতে হবে যাতে খাঁচার ভিতর ডিম মেঝেতে পাড়ার সুযোগ না পায়।
৯# এছাড়াও নিয়মিত জীবাণূ বিরোধী ওষধ ছীটাণো যাতে খামারে ডিমের গন্ধ না থাকে, কারণ যাদের ডিম খওয়ার অভ্যাস যাদের থাকে তারা ডিমের গন্ধ পেলে পাগোল হয়ে যায়।
উপরোক্ত ব্যবস্থা গূলো ঠিকমতো গ্রহণ করলে আশা করা যায়, আপনার প্রিয় কবুতরের এই ডিম নষ্ট করার অভ্যাস থেকে আপনি তাকে মুক্ত করতে সফল হবেন। তবে তার আগে অবশ্যই আপনাকেও একটু সচেতন হতে হবে।